1. dainiksangbadsaradin@gmail.com : Dainiksangbadsaradin.com :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারে এনজিও কর্মকর্তার প্রতারণা – মাঠ কর্মীর অভিযোগ

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ বার ভিউ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার এনজিওর ঋন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সঞ্চয় আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে তোফাজ্জল হোসেনের(৪০) নামে এক কর্মকর্তার উপর।
এব্যাপারে এনজিও ফিল্ড কর্মী মিনতি রানী টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ এনে মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানাযায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬নং আশীদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর দর্জিগুল গ্রামের মিনতি রানী শীল (৩৯)কে এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেন মৌলভীবাজার চোবড়া এলাকার এনজিও কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। এনজিও থেকে ঋন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দল গঠনের মাধ্যমে সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় আদায় করে তোফাজ্জল হোসেন এর হাতে জমা দেন ফিল্ড কর্মী। সঞ্চয় নেওয়ার পাঁচ মাস গত হওয়ার পরও সদস্যকে ঋন না দিয়ে শুধু তারিখ করেন।
এক সময় সদস্য আমানত হিসেবে তাদের সঞ্চয় রাখা এই টাকা ফেরত চাইলে ফিল্ড কর্মী মিনতি রানী শীল টাকা জমা দেই নাই বলে দাবী করেন তোফাজ্জল হোসেন। পরবর্তীতে ফিল্ড কর্মী মিনতি রানী শীলকে জিম্মি করে ৩ পাতার চেক (যাহার চেক নং- ৯৫৩৩০০২, ৯৫৩৩০০৩, ৯৫৩৩০০৮) নেন এবং ১০০ টাকার ৩টি স্টাম্পে জোর পুর্বক স্বাক্ষর নেয় কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। এসময় তাকে জিম্মি করে হুমকি দিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। এদিকে গত ১৬ এপ্রিল তারিখে মাহমুদা নামে এক কর্মীকে দিয়ে তাকে অফিসে নেওয়া হয় সঞ্চয় এর হিসাব দেওয়ার কথা বলে। অফিসে যাওয়ার পর সাদা কাগজে নিয়মিত ফিল্ডে যাবে এবং কিস্তি আদায় করবে বলে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। সে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় রাত ১২ টা পর্যন্ত অফিসে বসিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে জোরপূর্বক ভাবে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে স্বীকারোক্তি পত্রে টাকা অংকটা বসানো হয়েছে। বিগত পাঁচ মাসের বেতনও দেওয়া হয়নি তাকে। এসমস্ত ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত। তার অপূরণীয় ক্ষতি ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বলে মিনতি রানী শীল এর অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে লোন দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা সঞ্চয় নিয়ে লোন না দিয়ে টালবাহানা করছেন তোফাজ্জল।

এব্যাপারে তোফাজ্জল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, তার উপর করা অভিযোগ সঠিক নয়। মিনতি রানী শীল আমার এনজিও এর মাঠ কর্মী। মাঠ থেকে সঞ্চয় ধাপে ধাপে আত্নসাৎ করার কারনে তার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকার চেক ও স্টাম্প নেওয়া হয়েছে। এনজিও মাঠ কর্মী ১০ লাখ টাকা আত্নসাৎ করলো তা কি তিনি বুঝতে পারেননি। প্রথমেই কেন তার প্রতি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথম প্রথম ক্ষমা করেছি। অভিযোগের বিষয় মৌলভীবাজার মডেল থানার তদন্তকারী অফিসার বলেন, মিনতি রানী শীলের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com